ছুটির ডায়রী থেকে

ENGLISH VERSION Bilingual Anthology Photo Album Contact Dahuk Selected Poems Our Pride Building Bridges

যারা ভালোবাসে, ভালোবেসে জ্বলে, জ্বলে পৃথিবীর দিগন্তকে রাঙিয়ে দেয় ভিন্ন এক গোধুলি আলোয় -- তাদের জন্যে।


বড় আকৃতির মুসুরের ডালের মতো

২০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০ ০০০

কিলোগ্রাম ওজনের সূর্যটা তার অন্তর্গত বিশ মিলিয়ন ডিগ্রি তাপমাত্রার সবটুকুই ধরণীর প্রীতিতে লালিত সবক'টি মানুষকে অকাতরে বিলিয়ে যায়। সে উষ্ণতার কতটুকুই বা আমরা ধারণ করতে পারছি?

শুভেচ্ছা। কেমন আছো, তুমি?


সত্যিই এখনও কখনো কখনো শিশু মনে হয় নিজেকে। বাস্তবে থেকে বাস্তবে নেই। Keats বলেছিলেন 'সত্যই সুন্দর'। অথচ সত্যকে ধারণ করতে পারছি কই? বুঝতে পারছি কই? যেখানে হৃদয়ই সুন্দরের সর্বশ্রেষ্ঠ আবাস।

"অপমানে, অসহ্য লজ্জায়, ঘৃণায়

সুন্দর ফিরে যায়

হেরি মোর রুদ্ধ দ্বার,

অন্ধকার মন্দির প্রাঙ্গন

--- যৌবন আমার অভিশাপ"

কবে যে এই অন্ধকারের ঘুম ভাংবে -- কে জানে!


 'আজ একটি মসৃন পেলব সকাল, তোমাকে প্রতীক্ষা করেছিলাম।'

মানুষ আসলে কাকে ভালোবাসে? সবচেয়ে বেশী? প্রতিটি বেদনার আড়ালে থাকে একটি প্রেম। প্রতিটি কান্নার পেছনের কারণ কোনো না কোনো ভালোবাসা। পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে পানি থেকে। আর ভালোবাসা থেকে সৃষ্টি হয়েছে পানি। ভালোবাসা থেকেই পৃথিবীর সব সৃষ্টি। স্রষ্টাও ভালোবেসেই এই জগৎ-সংসার সৃষ্টি করেছেন।

মানুষ তাহলে কাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে?--আসলে মানুষ ভালোবাসে নিজেকে। শুধু নিজেকে! নিজেকে ভালোবাসে বলেই তার অন্য সমস্ত আয়োজন।


"এতোটা নিঃশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি। আরও কতো শব্দহীন হাঁটবে তুমি? আরও কতো নিভৃত চরণে? আমি কি কিছুই শুনবো না--আমি কি কিছুই জানবো না!"


অনেক বনের মধ্য দিয়ে

অনেক নদী সমুদ্রের স্বচ্ছতায়

একদিন হয়তো পাহাড়ের দুর্গমতায়

পাথরের নিশ্চেতন সংকট পার হয়ে

ইউলিসিস ইথাকায় ফিরবে!

সেদিনের অপেক্ষায়

দুঃখের ঐশ্বর্যকে মেনে নিই

আমি আমার ভাষা হারাই

যেখানে হঠাৎ তোমার নামে এসে

আমার সমস্ত বলা থামে

আর আমার একাকী বিসর্জিত দেহ

আকুল হয় আকাশকে পাবার জন্য।


আমি তোমাকে এতো বেশী স্বপ্ন দেখেছি যে, তুমি তোমার বাস্তবতা হারিয়ে ফেলেছো। আমি তোমাকে এতো বেশী স্বপ্ন দেখেছি যে, হয়তো আমার পক্ষে আর জাগাই সম্ভব হবে না!


আমার শুধু ভয় হয় এই বুঝি ভুলে যাই তোমাকে। কতো লোকইতো কতো কিছু ভুলে যায়, আমি যদি সেই সব লোকদের মতো ভুলে গিয়ে থাকি, তুমিই হয়তো একদিন এসে বলবেঃ এ খুবই অন্যায়, ভালোবাসার অবিচার। তাই আমি সারাদিন ভয়ে ভয়ে থাকি, তুমি যেন ভুলে না যাও আমাকে।


এখানে এখন প্রচন্ড বাতাস

তুমি তাকে চিত্রিত করো নিজেকেই ভেঙেচুরে। তোমার এ নির্মাণ জীবনের বিপরীতে ভিন্ন জীবন। তুমি সেই জীবনের কথা বলেছিলে!

নার্সিসাস আজও


 
তোমার কন্ঠ থেকে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দই আমার কানে কবিতা হয়ে যায়। অতি পরিচিত শব্দও হঠাৎ হয়ে যায় সমুদ্র। তোমার হাসি আমার কাছে সম্মিলিত কল্লোল ফুল ফুটুক, আর নাই ফুটুক–সেদিন বসন্ত! একসময় বিমুগ্ধ বিষ্ময়ে আবিষ্কার করি আমি বার বারই তোমার প্রেমে পড়েছি ‘তোমাকে ভালোবাসি’। তবে তার মানে এই না যে, তোমাকে না পেলে সংসার ত্যাগ করবো, কান্নার বৃষ্টিতে আকুল হবো, আত্মহননের পথ বেছে নেবো। অথবা কবির মতো মিনতি করে বলবোঃ ‘আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ আমাকে গ্রহন করো’। কারণ, ধূলির সন্তান ধূলি নিয়ে খেলতে জানে। কারণ, যে পথে শুধু পাতা ঝরার শব্দ, সে পথে আমি হেঁটেছি হাজার বছর। কারণ, শেষহীন আকাশে বিরামহীন উড়ে না ঘুমিয়ে আমি কাটিয়ে দিতে পারি অগনন প্রহর। এবং মানুষ মূলতঃই প্রেমজীবি। নার্সিসাস, আজও নার্সিসাস! হয়তো তোমার অনুযোগই সঠিক এখনও আমি সেই নার্সিসীয় বলয়েই রয়ে গেছি।


যা দিয়েছি তা কি কখনও ফিরিয়ে নিতে পারি? যা ঘটেছে, তা অসম্পূর্ণ হলেও, কখনও ঘটেনি এমন সাব্যস্ত কি করা যায়? হয়তো ক্রমশঃ অনেক অভিজ্ঞতার উপাদান সঞ্চয় করে কোনও এক সময়ে যা প্রাসঙ্গিক ছিলো তা আমরা বিস্মৃত হই। যেহেতু প্রাসঙ্গিকতার মধ্যেই জীবনের বর্তমানতার চলচ্চিত্র, তাই হয়তো পূর্বের প্রসঙ্গকে আমরা হারিয়ে ফেলি। কর্মব্যস্ত মানুষের জন্য স্মৃতির সঞ্চয় একটি অসম্ভব নিরুদ্ধতা। কিন্তু কবি অনন্ত সময় এবং কালের বিস্তারের মধ্যে বাস করেন, তাই তাঁকে বেদনার অনুকম্পন আবিষ্কার করতে হয়। এ-বেদনা স্মৃতির মধ্যে যতটা বিকশিত, জীবনের বর্তমান বা ভবিষ্যতের সঙ্গে ততটা প্রবাহিত নয়। প্রভাতের অরুণশ্রীর সুন্দরতার মতো, সমস্ত প্রাচীন বেদনা কবির চিত্তে নতুন উপলব্ধির ব্যঞ্জনায় জাগ্রত হয়। ভালোবেসে আমি যা দিয়েছি, ফিরিয়ে নিতে চেয়েও তা ফিরিয়ে নিতে পারি না। একদিন সর্বস্ব চেয়ে যে প্রার্থনা করেছিলাম, পূর্ণ হলো না বলে সে-প্রার্থনার সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে চাই কিন্তু পারি না।


মা, আমি বড় হয়ে তোমার ইচ্ছাকে

পূর্ণ করতে পারলাম না।

বাতাসে প্রদীপের শিখার মতো অসহায় আমি

মহাপুরুষ হতে ভয় পেলাম--

রৌদ্রে প্রজাপতির ডানার আড়ালে

রক্তগোলাপকে দেখে,

আমি সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং দুঃখের মধ্যে

একজন একাকী কবি হলাম।


চিত্রশিল্পীঃ নাজিয়া আন্দালীব প্রিমা